স্টাফ রিপোর্টার; :বারমাসে তের পার্বনের অন্যতম প্রধান পূজা বিশ্বকর্মা। বিষ্ণু পুরাণ মতে বিশ্বকর্মা একজন দেবশিল্পী। বেদে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বকর্মা বলা হয়েছে। বিশ্বকর্মা পূজা ভাদ্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। ভাদ্র সংক্রান্তিতেই কেন তার পূজা করা হয় এ সম্পর্কে বৃহৎ সংহিতাতে উল্লেখ রয়েছে, গ্রীষ্মের শেষে সূর্য মেঘ রচনা করে কর্মের মাধ্যমে বিশ্বের কর্ম অর্থাৎ কৃষি সংরক্ষণ করেন। তাই তিনি হচ্ছেন বিশ্বকর্মা। ভাদ্র মাসের শেষের দিকে বর্ষা শেষ হয়ে যায়। তখন কৃষি কর্মের পূর্ণতা হয় এবং তখন কৃষকেরা ফসলের জন্য প্রতিক্ষা করেন। তাই সেই কর্ম ক্ষান্তিতে অর্থাৎ ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে তাঁকে পূজা করে কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেন। এমতাবস্থায় দেখা যায়, বিশ্বকর্মা শুধু শ্রমিকের নয়, কৃষকদেরও উপাস্য দেবতা। বিশ্বকর্মা শুধু দেবশিল্পী নন, তিনি মর্ত্যবাসী মানবদেরও শিল্প প্রজাপতি। তাঁর আশীর্বাদে মর্ত্যবাসীগণ শিল্পকাজে যথেষ্ট পারদর্শী হয়েছেন। তিনি বর্তমান শ্রীলংকা নগরীর নির্মাতা এবং পঞ্চপান্ডবের প্রসাদও নির্মাণ করেছেন। তাই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তারূপে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ঋকবেদেও বিশ্বকর্মাকে সর্বদর্শী ভগবান বলা হয়েছে। বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে নগরীতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছে বরিশাল জেলা নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়ন পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ.
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর ও তারা শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা যথাযথ মর্যাদায় পালন করার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে নগরীর ঐতিহ্যবাহি মদন মোহন জিউর আখড়ায় পূজা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বরিশাল জেলা নরসুন্দর কল্যাণ কমিটি.পূজার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বেলা ১১টায় পূজার্চনা ও প্রসাদ বিতরণ.এবং সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটের সময় আরতি ও রামায়ণ গানের মাধ্যমে পূজার সমাপনী হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply